রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্ল্যাকমেইল ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, নেত্রকোনায় তাঁর বাড়িতে হামলা পর্যন্ত হয়েছে। অনেক আয়োজন থেকে ব্ল্যাকলিস্টেড করে রাখা হয়েছিল তাঁকে। এমনকি অনেক চূড়ান্ত হওয়া শো বাতিল করে
নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে আজ রোববার বিকেল আরেক শিল্পীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়লেন ন্যান্সি। এ পোস্টে কারো নাম না নিলেও অনেকে ধারণা করছেন, দেশের আরেক সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনাকে উদ্দেশ্য করেই এমনটা লিখেছেন তিনি।
৯ বছর পর দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিলেন ন্যান্সি ও মোহাম্মদ মিলন। ‘বলব কতো আর’ শিরোনামের গানটি লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল।
সংগীত অঙ্গনের জনপ্রিয় জুটি হাবিব ওয়াহিদ ও নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। চলচ্চিত্র ও অডিও—দুই মাধ্যমেই জনপ্রিয় অনেক গান উপহার দিয়েছেন তাঁরা। হঠাৎ করেই কমে গেছে এই জুটির নতুন গানের সংখ্যা।
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির বাসা থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অন্যান্য অলংকার চুরির মামলায় গৃহকর্মী মোছা. তাহমিনা ও তাঁর স্বামী শাকিলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন
নতুন করে ঘর বেঁধেছেন ন্যান্সি। বিয়ের বয়স সাত মাস। মা হতে চলেছেন। এই পরিস্থিতিতে সাংসারিক কিছু জটিলতার ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছিল গায়িকা ন্যান্সিকে। হাঁপিয়েই উঠেছিলেন। সব কথা, সব অভিমান, টানাপোড়েন—জড়ো করে পোস্ট করেছিলেন ফেসবুকে। তারপর দুই দিন ধরে অনেক তোলপাড় হয়ে গেছে অনলাইনে।
‘আ নিউ চ্যাপ্টার অব মেহনাজ লাইফ ইজ এবাউট টু বিগেইন’
সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ ৫ জুলাই তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন ‘বৃষ্টি যদি আর না থামে আজ’। বাকিটা লিখতে বলেন ভক্তদের। ভক্তরা লিখেছেন একের পর এক বাক্য। তাঁদের দেওয়া বাক্য দিয়ে পুরো গানটি তৈরি করেছেন হাবিব। এও নিশ্চিত করেছেন, গানটি হবে দ্বৈত। তাঁর সঙ্গে গাইছেন ন্যান্সি।
প্রথমবারের মতো কোনো মৌলিক হিন্দি গান গাইলেন ন্যান্সি। ‘ম্যায় হু তেরা’ শিরোনামের গানটির সুর ও সংগীত করেছেন কলকাতার আয়ুশ দাস। দ্বৈত গানটিতে তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রেম ইসলাম। ভারতের টি সিরিজ থেকে গানটি প্রকাশ পাওয়ার কথা।
নড়াইলের বড়দিয়ায় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির পৈতৃক বাড়ি। গত বছরের আগস্টে বাবা হারিয়েছেন তিনি। বাবা চলে যাওয়ার এক বছরও হয়নি, এরই মধ্যে পৈতৃক সম্পত্তি হারাতে বসেছেন ন্যান্সি।